ডেস্ক নিউজ : বিশ্বের গড় হারের চেয়ে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস অনেক দ্রুতগতিতে রূপ পরিবর্তন (মিউটেশন) করছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
এতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের রূপান্তরের হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ।
যেখানে বিশ্বে করোনাভাইরাসের রূপান্তরের হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
আজ রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) সংবাদ সম্মেলনে এই গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংগৃহীত নমুনায় শতভাগ ক্ষেত্রে আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্টের ‘জি৬১৪’ (স্পাইক প্রোটিনে ৬১৪তম অবস্থানে অ্যাসপার্টিক এসিডের পরিবর্তে গ্লাইসিন হওয়ার কারণ) উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত ২৬৩টি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের মধ্যে ২৪৩টি জিআর ক্লেড, ১৬টি জিএইচ ক্লেড, ৩টি জি ক্লেড এবং একটি ও ক্লেডের অন্তর্ভুক্ত।
২৬৩টি সার্স-কোভ-২ জিনোম বিশ্লেষণ করে জানা যায় যে, সর্বমোট ৭৩৭টি পয়েন্টে মিউটেশন হয়, যার মধ্যে ৩৫৮ নন-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন ঘটায়।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের মিউটেশনের হার বার্ষিক ২৪ দশমিক ৬৪ নিউক্লিওটাইড।
স্পাইক প্রোটিনের জিনে ১০৩টি নিউক্লিওটাইড মিউটেশনের মধ্যে ৫৩টি নন-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন ঘটে।
যার মধ্যে ৫টি স্বতন্ত্র, যা বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
সংগৃহীত নমুনাসমূহের মধ্যে ১০০ ভাগ ক্ষেত্রে ৪টি মিউটেশনের পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা গেছে।
এ গবেষণালব্ধ ফল ইতোমধ্যে পি-প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
এ ছাড়াও কয়েকটি রিসার্চ পেপার আন্তর্জাতিক জার্নালে শিগগির প্রকাশিত হবে।
চীনের সিনোভ্যাক রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিডেট, যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের প্রায় ৫০টি কোভিড ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে এই গবেষণা প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
যা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশের সংক্রমিত কোভিড-১৯ এর উপযোগী ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করবে এবং বিসিএসআইআর তার অংশীদার হওয়ার গৌরব অর্জন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
দেশে এ পর্যন্ত ৩২৫টি করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিন নকশা উন্মোচিত হয়েছে।
এর মধ্যে বিসিএসআইআরের জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষকেরা ২৬৩টি করোনা ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জীন নকশা উন্মোচন করেছেন।