বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি হৃদরোগসহ নানা জটিল অসুখের ঝুঁকি কমায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে। বাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা মস্তিষ্কের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
তবে বাদামের সাথে কিছু বিশেষ খাবার মিলিয়ে খেলে এর উপকারিতা দ্বিগুণ হয়ে যায়। নিচে এমন কয়েকটি খাবার উল্লেখ করা হলো যা বাদামের সাথে খেলে মস্তিষ্ককে আরও বেশি সক্রিয় ও শক্তিশালী রাখে– ডার্ক চকোলেট: এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সামান্য ক্যাফেইন মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। বাদামের ভিটামিন ই এর সাথে মিলিয়ে এটি স্মৃতিশক্তির জন্য দারুণ সংমিশ্রণ।
ব্লুবেরি: এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন মানসিক চাপ কমায় এবং নিউরনের ক্ষতি থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। বাদামের সঙ্গে মিলিয়ে এটি মস্তিষ্ককে আরও সতেজ রাখে। দই: দইয়ের প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা পরোক্ষভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দই ও বাদাম একসঙ্গে খেলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং ত্বকও উজ্জ্বল হয়।
ওটস: ওটসে গ্লুকোজ ও ফাইবার থাকে, যা দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায়। বাদামের ওমেগা-৩ এবং ভিটামিন ই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে, বিশেষ করে ব্রেকফাস্টে এই সংমিশ্রণ খুব উপকারী।
আখরোট: আখরোটে থাকা ডিএইচএ স্মৃতিশক্তি ও নিউরনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। বাদামের সঙ্গে খেলে স্মৃতিশক্তি দ্রুত উন্নত হয়।
পালংশাক: এতে প্রচুর আয়রন থাকে, যা রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে মস্তিষ্ককে সচল রাখে। বাদামের ভিটামিন ই এর সঙ্গে মিলিয়ে মানসিক চাপ কমায়।
হলুদ: হলুদের কারকিউমিন মস্তিষ্কে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব ফেলে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। বাদামের সঙ্গে মিলিয়ে এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তি বাড়ায়।
ডিম: ডিমে থাকা ভিটামিন ডি ও কোলিন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। বাদামের সঙ্গে নিয়মিত খেলে মানসিক চাপ কমে এবং ব্রেন ফাংশন ভালো হয়।
গ্রিন টি: এতে থাকা এল-থিয়ানিন ও ক্যাফেইন মন শান্ত রাখতে সাহায্য করে। বাদামের সঙ্গে গ্রিন টি খেলে ঘুমের মান উন্নত হয় এবং একাগ্রতা বাড়ে।
কলা: কলায় প্রচুর পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা মস্তিষ্ককে শক্তি জোগায় ও স্ট্রেস কমায়। বাদামের সঙ্গে খেলে ত্বকেও উপকার হয়।
স্মৃতিশক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বাদাম একমাত্র নয়, এসব খাবারের সঙ্গে বাদাম মিলিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত এই খাদ্যগুলো ডায়েটে থাকলে মস্তিষ্ক হবে আরও বেশি সক্রিয়, শান্ত এবং শক্তিশালী।
