নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ।
বিএনপি গণতান্ত্রিক ও গণতন্ত্রের পক্ষের দল।
আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা কখনওই জনগণের গণতন্ত্র হরণ করি নাই।
শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বিন্যাফৈর স্কুল মাঠে দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুকের ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
টুকু বলেন, ৯ বছর আন্দোলন করে সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
আমাদের নেতা আমাদের অভিভাবক তারেক রহমান ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছেন।
আমাদের নেতা কি আপোষ করেছেন। ২৪ সালের অনেকেই ক্ষমতার লোভে ভাগাভাগির সেই নির্বাচনে গিয়েছেন।
জনগণ ভোট দেয় নাই। দেশ নায়ক তারেক রহমানকে অনেকভাবেই অফার করা হয়েছিল।
সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাক সাহেব বলেছিলেন বিএনপিকে বলা হয়েছিল যদি তারা নির্বাচনে আসে তাহলে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হবে না।
কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান জনগণের অধিকারের কথা চিন্তা করে ওই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে কোন আপোষ করে নাই।
বিএনপি গণমানুষের দল, মানুষের কথা চিন্তা করেই পদক্ষে নেয়। জনগণও সবসময় বিএনপির সাথে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি বলেন, জনগণ আর বিএনপি পরিপূরক, বাংলাদেশ আর বিএনপি পরিপূরক। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বিএনপি থাকবে।
টুকু আরও বলেন, যারা দলের দূর্দিনে দলের কাজ করেছেন তারা দলের নেতৃত্ব দিবে।
যারা এখন আসবেন তারা দয়া করে দূর্দিনের কর্মীদের পিছনে থাকবেন।
দলের মধ্যে কখনওই বিভেদ সৃষ্টি করার কাজে লিপ্ত হবেন না। লিপ্ত হলে দল করা কিন্তু আপনাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
যারা উপস্থিত ছিলেন –
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড.ফরহাদ ইকবাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম।
শহীদ রফিকুল ইসলাম ফারুক স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিহতের ছোটভাই লাবলু মিয়া, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আজিম উদ্দিন বিপ্লব প্রমুখ।
এ সময় জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক মনিরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুক হত্যার বিচার সম্পন্ন করা আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতাল সালাউদ্দিন টুকু।
শেষে নিহতের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করেন তিনি।