আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপি ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। বাকি ৬৩টি আসনে এখনো প্রার্থী নির্ধারণ হয়নি। দলের ফাঁকা রাখা আসনগুলোতে জোট ও মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছেন এবং যে আসনে তারা আগ্রহী, সে সব আসনে আমরা প্রার্থী নিইনি। তারা তাদের প্রার্থী ঘোষণা করলে আমরা চূড়ান্ত করব।” তবে এই ফাঁকা আসনগুলোতে সকল জোটশরীক শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে থাকবে কি না তা এখনও অনিশ্চিত।
ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫টি আসনের মধ্যে ৯টিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকা-১৩ ও ঢাকা-১৭ ফাঁকা রাখা হয়েছে। এই আসনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ইতোমধ্যে বিএনপির সবুজ সংকেত নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এর বাইরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, চট্টগ্রাম-১৪, বগুড়া-২, পিরোজপুর-১, লক্ষ্মীপুর-১, কিশোরগঞ্জ-৫, ঝালকাঠি-১, পটুয়াখালী-৩, ঝিনাইদহ-২, ঢাকা-৭, ঢাকা-৮, ঢাকা-১২ সহ আরও কয়েকটি আসনে জোটশরীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
বিএনপি ২০২২ সাল থেকে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এবারও গণসংহতি আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চ, লেবার পার্টি, জাতীয় পার্টি, এলডিপি ও অন্যান্য শরীক দলগুলোর জন্য কিছু আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। তবে জোটভুক্তি ও সমঝোতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।
এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চললেও, বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার কারণে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া এখনো অনিশ্চিত। এনসিপি সূত্র জানায়, ঢাকা-১১, রংপুর-৪, কুমিল্লা-৪, পঞ্চগড়-১, নোয়াখালী-৬ ও ঢাকা-১৪ আসনে তারা প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে, তবে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার কারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত।











