বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে জনপ্রিয় হওয়া বা বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টা করছে কিছু দুষ্কৃতিকারী। বুঝে বা না বুঝে তারা সাধারণ মানুষকে যেমন বিভ্রান্ত করছে তেমনি দেশেরও ক্ষতি করছে। এ ধরনের অপপ্রচারকারীদের পাসপোর্ট বাতিলের কথা ভাবছে সরকার। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিদেশে বসে সরকারের সকল কর্মকাণ্ডের সমালোচনার পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। সরকারকে বিব্রত করতে বা বিশেষ উদ্দেশ্যেও এধরনের কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে।
সব কাজের বিরোধিতা করতে যেয়ে অনেক সময়ই এরা রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নিয়ে ফেলে। সাবেক ছাত্রনেতা মাহিন খান, যুক্তরাজ্যে বসে পিস ফর বাংলাদেশ নামের পেইজ থেকে নিয়মিত সরকারবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এর চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা ডলার বিশ্বাসও এ কাজে সিদ্ধহস্ত। ইস্ট লন্ডন বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এমডি আনিসুজ্জামানের পেজ থেকেও প্রায়ই মিথ্যে সংবাদ আর গুজব ছড়ানো হয়।
জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় ঢাকার মোহাম্মাদ তারেকুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের আলী সাহাজাদা। যুক্তরাজ্যে বসে ফেসবুকে প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা তাদের।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের এমন বেশ কিছু পেজ রয়েছে, যেখান থেকে নিয়মিত সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে গুজব রটনাকারীদের বেশীরভাগই বিএনপি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এনটিএমসি এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, গুজব রটনাকারীদের পাসপোর্ট বাতিলের কথা ভাবছে সরকার। আমরা সকল কিছুর উপরে নজর রেখেছি। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সহ সকল ডকুমেন্ট। কারা এই ধরণের কাজ করছে, তাদের অতি তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা হবে। -আরটিভি