টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে থানার পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাদক সেবনের সময় চারজনকে হাতেনাতে আটক করা হলেও ঘটনাস্থলেই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে শুধু রিপন শেখ নামে একজনকে মাদক মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার বিকেলে রায়ের বাশালিয়া এলাকা থেকে চারজন যুবককে আটক করে পুলিশ। এরপর শনিবার সকালে রিপন শেখকে ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আটক চারজনের মধ্যে তিনজনকে বিভিন্ন তদবিরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মাদকের জিরো টলারেন্স নীতির কথা থাকলেও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার ফেসবুক পেজে আটক সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তারা প্রশ্ন তুলছেন— সবার জন্য কি আইন সমান নয়? তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার কারণ কী?
এসআই শরীফ হায়দার আলী বলেন, চারজন একসঙ্গে মাদক সেবনের প্রস্তুতি নিলেও মাদক পাওয়া যায় কেবল একজনের কাছে। তাই অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বাকি তিনজনের কাছে মাদক না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মাদকের বিষয়ে কোনো আপোষ কিংবা তদবির গ্রহণযোগ্য নয়।











