ভোলা জেলার প্রায় ২২ লাখ মানুষের প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এখন চরম অব্যবস্থাপনার কবলে পড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশু ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পোকামাকড়ের উপদ্রব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। হাসপাতালের শয্যা, মেঝে, দেয়াল—সবখানেই তেলাপোকা ও ছারপোকার উৎপাত দেখা যাচ্ছে।
রোগীরা জানান, রাতে ঘুমানোই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ছারপোকার কামড়ে ঘুম ভেঙে যায় বারবার, খাবারেও উঠে যাচ্ছে পোকামাকড়। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মমিন অভিযোগ করেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বরং আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দায়িত্বরত থাকা সত্ত্বেও কার্যত কোনো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার চিহ্ন নেই বলে অভিযোগ রোগীদের। হাসপাতালের ১৫ জন সরকারি ও ২৫ জন আউটসোর্সিং কর্মী থাকলেও কাজের গতি খুবই নিচু।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তায়েবুর রহমান বলেন, “পোকামাকড় নিধনে ওষুধ ছিটানো শুরু হয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে সব ওয়ার্ডে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।”
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু সুফিয়ান রুস্তম বলেন, “পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাধ্যমে কাজ চলছে, তবে আউটসোর্সিং কর্মীদের নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে।”
রোগীরা হাসপাতালের পরিবেশ দ্রুত উন্নয়নের দাবি জানিয়ে বলেন, চিকিৎসার জন্য এসে যেন নতুন অসুস্থতা নিয়ে ফিরতে না হয়।