মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে রয়েছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। চলতি সপ্তাহে এই অ্যাপের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার সংস্থা একটি সুপারিশও পাঠাবে বলে তিনি জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি বিনিয়োগবিষয়ক কমিটি সিএফআইইউএসে পর্যালোচনায় রয়েছে টিকটক। সেই তথ্য স্টিভেন মানুচিনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই প্রথম জানা গেছে।
তিনি জানান, টিকটক এখন সিএফআইইউএসের পর্যবেক্ষণে আছে। আমরা প্রেসিডেন্টের কাছে একটি পরামর্শ দেব চলতি সপ্তাহে। আমাদের হাতে বহু বিকল্প আছে।
এদিকে টিকটকের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল রিপাবলিকান সিনেটর।
দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ অ্যাপের হস্তক্ষেপের হুমকির বিষয়টি মূল্যায়ন করে দেখতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি তারা অনুরোধ জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার এক চিঠিতে উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনের নিপীড়নসহ স্পর্শকাতর বিভিন্ন ভিডিওতে টিকটকের সেন্সর আরোপের কথা উল্লেখ করেন মার্কো রুবিও, টিম কটন ও অন্যান্য আইনপ্রণেতা।
এ ছাড়া এতে সামাজিকমাধ্যমের অ্যাপগুলোতে রাজনৈতিক আলাপ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের অফিস (ওডিএইচআই), হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ও এফবিআই পরিচালককে লেখা চিঠিতে তারা বলেন, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি টিকটকের ওপর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নিজেদের নিয়ন্ত্রণ স্বার্থ হাসিলে কাজে লাগাতে পারে। বিশেষ করে তারা রাজনৈতিক আলাপগুলো বিকৃত করে আমেরিকানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।
তবে টিকটকের এক মুখপাত্র বলেন, টিকটক কোনো রাজনৈতিক খবর প্রচারে যাচ্ছে না। তবু আগভাগেই সক্রিয় হয়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। গত নির্বাচন থেকেও অভিজ্ঞতা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে অ্যাপটির কঠোর বিধিনিষেধ আছে। সে অনুসারে আমরা কোনো রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিতে পারি না।