টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হকিস্ট্রিক ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে দুই নারীসহ চারজনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সাকিব নামে একজনকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- টাকিয়া কদমা গ্রামের হেলাল মিয়া তার স্ত্রী আখি আক্তার ছেলে সাকিব ও তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। এ ঘটনায় হেলাল মিয়া বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- লতিফপুর ইউনিয়নের ছানোয়ার সিকদার তার ছেলে সিফাত সিকদার ও সিলু মিয়ার ছেলে আমজাদ মিয়া আঞ্জু।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় বছর আগে পরকীয়া করতে গিয়ে আসামী সিফাত সিকদার এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সামাজিক সালিশও হয়। ওই ঘটনায় সাকিব ও তার পরিবারের উপর ক্ষুব্ধ হন সিফাত সিকদার।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে হেলাল তার ছেলে সাকিব স্ত্রী আখি আক্তার ছেলের বৌ সাদিয়া বোন রহিমা বেগম ও ছোট দুই মেয়ে মায়া আক্তার ও স্নেহা আক্তারকে নিয়ে লতিফপুর বড় চালা জ্বালানীর লাকড়ি সংগ্রহে যান। আসামীরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে হকিস্ট্রিক ও লাঠি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় হকিস্ট্রিক ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে হেলাল তার ছেলে সাকিব ও স্ত্রীসহ অন্যরা আহত হন।
এদের মধ্যে ছেলে সাকিবের মাথায় আঘাত পাওয়ায় তার অবস্থা গুরুতর হলে প্রথম মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে বলে হেলাল মিয়া জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছানোয়ার সিকদার ও ছেলে সিফাত সিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানাউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।











