মির্জাপুর সংবাদদাতা : লৌহজং নদী ভাঙ্গনে মুখে পরেছে বিলিন হয়ে গেছে ৮ নং গুনটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের একটি ভবন ও একটি টয়লেট নদীগর্ভে চলে গেছে।
এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ চরম দূর্চিন্তায় পরেছেন লেখাপড়া নিয়ে।
বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মো. তৌফিকুর রহমান তালুকদার রাজিব বলেন, বিদ্যালয়টি লৌহজং নদীর পাশে হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে ঝুঁকির মধ্যে ছিল।
গতকাল হঠাৎ করেই এই ভাঙন শুরু হয়। আমরা এলাকাবাসী প্রতিরোধের চেষ্টা করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান শিক্ষক সুকুমার সাহা জানান, গত ৪-৫ দিন যাবত এই ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে ভাঙনের ব্যাপকতা খুব বেশি না।
কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল বিকেলে ভাঙনের ব্যাপকতা বেড়ে গিয়ে উত্তর পাশের একটি টিনসেড ক্লাশরুম এবং শিক্ষার্থীদের টয়লেট নদী গর্ভে চলে গেছে।
আমরা স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ভাঙনের বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু এবং উপজেলা প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন নদী ভাঙ্গন কবলিত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।