ঘাটটিতে মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হলেও স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও কোনো সরকার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। জনগুরুত্বপূর্ণ খেয়া ঘাটটি ফুলবাইরা ঘাট নামেও পরিচিত। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আটিয়া মামুদপুর খেয়া ঘাটটি ধলেশ্বরীর শাখা এলাংজানী নদীতে অবস্থিত।
যা আনাইতারা ইউনিয়নকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। ঘাটটি দিয়ে সাধারণ মানুষের বছরের প্রায় সাত মাসই খেয়া নৌকাযোগে পার হতে হয়। ফলে ইউনিয়নটির আনাইতারা, আটিয়া, মামুদপুর, শুকতা, মশাজান, চরবিলসা, দাঁতপাড়, তেগুরি, সন্ধিতারা, চৌবাড়িয়া ও আঘৈতসহ ১৩ গ্রামের মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া পার্শ্ববর্তী নাগরপুর উপজেলার বাগজান শেওয়াইল ও গাজুটিয়া এলাকার মানুষও চলাচল করে থাকেন এই খেয়া ঘাটটি দিয়ে। প্রতি বছর বর্ষায় আটিয়া মামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় এই নদীতে। এলাংজানী নদীটিতে সেতু না থাকায় আনাইতারা ইউনিয়নকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। এ কারণে ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে কাজে আসা মানুষকেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো খেয়া ঘাটের উত্তর পাশে অবস্থিত থাকায় দক্ষিণ এলাকার মানুষের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটের দুই পাড়ের দূরত্ব প্রায় ২৫০ মিটার। যেখানে শুষ্ক মৌসুমে হেঁটে চলতে পারলেও বর্ষায় ঘাটে থাকা নৌকাই সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা। শফিউদ্দিন মিয়া ও একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষক ও শুকতা গ্রামের বাসিন্দা মাসুদুর রহমান বলেন, আমাদের ঘাট টির দুই পাড়ের গ্রামগুলো অধিকাংশই কৃষক। সেতু না থাকায় তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে পারেন না।
অনেক আগেই সেতু হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও খেয়া ঘাটটিতে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় এসব এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ বলে তিনি জানান। খেয়া নৌকার মাঝি গোবিন্দ দাস বলেন, আমার পূর্বপুরুষরা এই ঘাটে নৌকা চালাইছে। আমিও ৩০ বছর ধইরা চালাই। শোনতেছি ব্রিজ হবে কিন্তু হইতেছে না।
এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন জানান, আটিয়া মামুদপুর খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে তিনি জানান।











