টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা দলীয় নির্দেশ অমান্য করে প্রার্থী হয়েছিলেন তারা আর স্ব-পদে থাকতে পারবেন না, বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বিদ্রোহীরা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারবেন না। কিন্তু মুজিববর্ষ উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমা করায় বিদ্রোহীরা সদস্য হিসেবে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সেইসাথে মেয়াদী উত্তীর্ণ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলাগুলোতে কেন্দ্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্মেলন করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগীয়) মির্জা আজম এমপি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীকে কেন্দ্র করে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল তা পরিস্কার হয়ে গেল। এতে করে দলীয় শৃঙ্খলা ও কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, একাব্বর হোসেন এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ছোটমনির এমপি, আতাউর রহমান খান এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, মমতা হেনা লাভলী এমপিসহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালিহাতীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী বিকম, বাসাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী অলিদ ইসলাম এবং দেলদুয়ারে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মারুফ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত এবং টাঙ্গাইল সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট খোরশেদ আলম পরাজিত হন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক।