নিজস্ব প্রতিবেদক : মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পেতে যাচ্ছে জেলার ১২টি উপজেলার ১২৭৪টি পরিবার।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে ৮শ’র মতো ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি প্রথম ধাপে ৬১৩টি ঘরের কাগজপত্র গৃহহীন পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসন থেকে জানা যায়, যাদের ভূমি ও ঘর নেই তাদের জমিসহ ঘর দেয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় সরকারিভাবে ১১৭৪টি পরিবারের মাঝে ঘর দেয়া হবে।
এছাড়াও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ, সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান, ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি ও সরকারি চাকুরীজীবীরা মিলে আরও ১০০ ঘর দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘরে দুইটা বেডরুম, কিচেন, ইউটিলিটি রুম, টয়লেট, বারান্দাও থাকবে।
নদী ভাঙনের শিকার, ভূমিহীন পরিবারের খুবই খুশি জমিসহ ঘর পেয়ে। তারা প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে একটি মহতি উদ্যোগ বলে জানিয়েছে।
এবিষয়ে ভূঞাপুরের গাড়াবাড়ির কহিনুর বেগম, মধুপুর উপজেলার সরবানু বেগম, ঘাটাইলের সন্ধ্যা রানী জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর বাবার মতোই দেশের মানুষকে ভালোবাসে। তাই তিনি এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা একটু মাথা গোঁজার জায়গা পাচ্ছি। না হলে স্রোতের শেওলার মতো ভাসতে হতো।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গণি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সততা ও আন্তরিকতার সাথে ঘরের কাজগুলো করা হচ্ছে।
মানবিক এই কর্মসূচি টাঙ্গাইল জেলায় সফল করা হবে। জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে যখন রঙিন টিনের ঘর উঠবে; তখন ফুল বাগানের মতো ঝলমল করবে।
তিনি আরও বলেন, কোথাও কোনও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হলে সেগুলো অপসারণ করে মানসম্মত সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঘর বিতরণের করার ক্ষেত্রে যাতে কোনও প্রকার লেনদেন না হয় সে জন্য জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভা, আইন-শৃঙ্খলা সভাসহ বিভিন্ন সভায় একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। যাদের ভূমি ও ঘর নেই এবং যারা প্রকৃতভাবে ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদের মাঝেই ঘর বিতরণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার