কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেপ্তারের পর মুনিয়া হত্যার রহস্য নতুন মাত্রা পেয়েছে। ‘ক্রাইম এডিশন’ সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদনে আফ্রিদির প্রতারণা, ব্ল্যাকমেল এবং নারীদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কুকীর্তির বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তে জানা গেছে, মুনিয়ার সঙ্গে আফ্রিদির সম্পর্ক কেবল ব্যক্তিগত ছিল না, বরং এতে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবও জড়িত ছিল।
প্রতিবেদনে এক নারী জানান, আফ্রিদি সম্পর্কের অবনতি হলে মুনিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এছাড়া ফাঁস হওয়া ফোনালাপ ও ভুক্তভোগীদের বয়ান থেকে দেখা গেছে, আফ্রিদি দেশের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জোরপূর্বক রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করত।
তদন্তকারীদের ধারনা, তৌহিদ আফ্রিদি এবং তার পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ছিল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ডিসি ডিবি হারুনের সঙ্গে। আফ্রিদি নিজেকে এই শেল্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন কুকীর্তি চালাতেন।
ভিডিও প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, আফ্রিদি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তাকে হুমকি দিত। এ ছাড়া মুনিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগ এবং ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ ফাঁস হওয়া ফোনালাপে ধরা পড়েছে। তদন্তে এগুলো মিলে দেখা গেলে মুনিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে।
তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী থানায় অভিযোগ রয়েছে জুলাই আন্দোলনে একজন বিক্ষোভকারীকে হত্যার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে জড়িত থাকার, আর বাড্ডা থানায় মামলায় অভিযোগ আছে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই মধ্যবাড্ডা ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর।