অলক কুমার : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করছি, দেশ স্বাধীন করছি, এই বিন্দুবাসিনী স্কুল মাঠে বঙ্গবন্ধুর হাতে অস্ত্র জমা দিছি।
দেশে কত কিছুই তো হইলো, কিন্তু কত কুটি কুটি টাকা খরচ করা হচ্ছে, এখানে তার একটা স্মৃতি চিহ্ন রাখা হলো না।
তাহলে কি আমি বুঝবো, যারা এখন আওয়ামী লীগ করে তারা বঙ্গবন্ধুরে চায় না। এটা ভালো কাজ না।
আপনারা একটু সাবধান হয়ে যান। আপনারা দেশটারে ডুবায়েন না, শত্রুর হাতে দেশটা তুইলা দিয়েন না।
‘আমার বোনের (শেখ হাসিনা) সঙ্গে একটু দেখা হওয়ায় আমার দলের অনেক মানুষ মনে করছে আমাগো নেতা গেছে গা।
নৌকা মার্কা হইয়া গেছে। অনেক আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছে আমাগো কাম হইছে। না, কিছুই হয় নাই।
আমি বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, বঙ্গবন্ধুর আছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আমার সারা জীবন কাটিয়ে যাব, এখানে কোনো আপস নেই।’
আজ শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ মিনার চত্বরে সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন ওরফে সজিবের কৃষক শ্রমিক লীগে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘অনেকেই মনে করেন আমি ধানের শীষে নির্বাচন করছি, ধানের শীষে গেছি। আমি ধানের শীষে কোনো দিন যাই নাই।
ড. কামাল হোসেনকে নেতা মনে করছিলাম বইলা গেছিলাম। যদি ভুল হইয়া থাকে সেটা আমার ভুল হইছে, জীবনের সেরা ভুল।
কিন্তু আমি বিএনপিতে যাই নাই। বিএনপিকে আমি মনেও করি না। বিএনপি আমার শত্রুও না।
কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বিএনপি আসমান এনে দিলেও তা–ও আমারে পাবে না।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী টাঙ্গাইল–২ (সখীপুর-বাসাইল) আসন থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিল।
দেড়–দুই ঘণ্টা ভোট হয়েছিল। ৭২ হাজার কত ভোট যেন পাইছিলো। ভালোই করছে।
আমার মেয়ে যদি ভোটে উঠত তাহলে তাকে পদত্যাগ করতে হতো। আল্লাহই পদত্যাগ করাই দিছে।
ইলেকশনে সবকিছু যে চুরি, সেই চোরের পার্লামেন্টে আমার মেয়ে কেমনে কইরা যাইতো। সেটা যাওয়া ঠিক হতো না।’
অনুষ্ঠানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দলের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হালিম সরকার লাল সভাপতিত্ব করেন।