সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১,০০০-এরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষাভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অনেকেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, আর অনেকে পড়েছেন নির্বাসনের শঙ্কায়। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, মিশিগান ও ওহাইও স্টেটের মতো অন্তত ১৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১,০২৪ শিক্ষার্থী মার্চের শেষ দিক থেকে এই সমস্যায় পড়েছেন।
হঠাৎ ভিসা বাতিল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা অসম্পূর্ণ রেখেই যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন। কিছু শিক্ষার্থী হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (DHS) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, অভিযোগ করে বলেছেন—তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, বরং পূর্বনোটিশ ছাড়াই ট্রাফিক লঙ্ঘনের মতো সামান্য কারণে ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
‘এআইএলএ’-র তথ্যে জানা গেছে, যেসব শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়েছে, তাদের ৫০ শতাংশই ভারতীয়, ১৪ শতাংশ চীনা, এবং বাকিরা বাংলাদেশ, নেপাল ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক।
আইস (ICE) বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত চার মাসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। এতে নিরীহ অনেক শিক্ষার্থী ভুলের শিকার হচ্ছেন, যাদের অপরাধের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এর আগে জানিয়েছেন, তারা ‘ধরা এবং বাতিল’ নীতি অনুসরণ করছেন। এর অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম, ইহুদিবিদ্বেষ বা হামাসপ্রীতির মতো অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ৩.৩ লাখ ভারতীয় শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে এসে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসা ইস্যু ৩০ শতাংশ কমে যায়।
এ নিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিবাসন আইনজীবীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।