বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় একটি বাসায় দুই নারীসহ তিনজনকে হত্যার পর তাদের রক্ত দিয়ে হত্যাকাণ্ডের কারণ লিখে গেছেন ঘাতক।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি (৩০) জয়েনের মা জমেলা বেগম (৬৫) ও শাহজালাল (সোহাগ, ২৫) নামে এক ব্যক্তি।
শাহাজালাল সোহাগ কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়ার সোহরাব আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত সুমির পাঁচ বছরের ছেলে শাফি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, হামিদপুরের খামারপাড়া গ্রামে সৌদি আরব প্রবাসী জয়েনের বাড়ি থেকে তার মা, স্ত্রী ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ঘাটাইল থানা পুলিশ।
রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতরে লাশগুলো পড়ে ছিল।
পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এক শিশুকে (৫) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহতদের বসতঘরের দেয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা ছিল- ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকত। এসব কিছুর জন্য দায়ী সুমির বাবা।’
এমন লেখা দেখার পর জন্য স্থানীয়রা ধারণা করছেন, পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
দিঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, শাশুড়ি, ছেলের বউ ও যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তিনি ধারণা করছেন, নিহত সুমির স্বামী সৌদি প্রবাসী। তাই এটি পরকীয়ার ব্যাপার হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে বা শনিবার ভোরে কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত শাহাজালালের সঙ্গে সুমির প্রেমের সম্পর্ক ছিল; ৬ মাস আগে তারা পালিয়ে গিয়েছিল; সুমির স্বামী বিদেশ থেকে এসে আবার তাকে ফিরিয়ে আনে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত নয় বলেও জানান তিনি।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২ কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমেলা, সুমি, শাহাজালাল নামে তিনজনের লাশ বসতঘরে পাওয়া যায়।
বসতঘরে লাশের পাশে ছুরি ও হাতুরি পাওয়া যায়। পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। সম্পাদনা – অলক কুমার