চট্টগ্রামের রাউজানে নোয়াপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম নিহতের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, ৫ রাউন্ড গুলি, ১টি দেশীয় এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। চাঁদার জন্য জাহাঙ্গীরকে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সনতু। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আরাফাত মামুন ও বিপ্লব বড়ুয়া।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার (৫ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে রাউজান থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি আরাফাত মামুন ও তার সহযোগী বিপ্লব বড়ুয়াকে রাউজান থানার পূর্ব গুজরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় মামুন পুলিশকে গুলি করার চেষ্টা করেন এবং ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
মামুন হত্যাকাণ্ডের হোতা এবং খুনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনিই ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিলেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত সংগ্রহ করেন। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সনাক্ত করা হয় এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুজন অস্ত্র ও গুলি দিয়ে অপহরণ, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে আসছিলেন আসামিরা। ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় রমজান আলী ও গিয়াস উদ্দীন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আমরা ভুক্তভোগীর
পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু কত টাকা তা তারা বলেননি।’ গ্রেপ্তার দুজনের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের কোনো দল নেই। কিন্তু প্রত্যেক অপরাধী রাজনৈতিক আশ্রয় চায়। সে হিসেবে তারা আশ্রয় নেয়।’
গত ২৪ জানুয়ারি রাউজান থানার নোয়াপাড়া এলাকার শুটকি ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম জুমার নামাজ পড়তে যাবার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এ সময় তার মামাতো ভাই মো. আব্বাস উদ্দিন আহত হন। এই ঘটনায় জাহাঙ্গীরের ছেলে মাকসুদ আলম অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনের নামে রাউজান থানায় মামলা দায়ের করেন।