করোনা প্রতিরোধে দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলাকে আনা হয়েছে লকডাউনের আওতায়। তারই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল জেলাকেও লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। এই লকডাউনের আইন অমান্য করে অযথাই যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদের গুনতে হচ্ছে জরিমানা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে এই জরিমানা।
টাঙ্গাইলে লকডাউন শুরুর পর থেকে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়ে আসছে।
এ বিষয়ে র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল কোম্পানীর কমান্ডার মেজর আবু নাঈম মো. তালাত বলেন, লকডাউন শুরু পর থেকে আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করেতেছি, লিফলেট-মাস্ক-স্যানিটাইজার বিতরণ করতেছি, জীবানুনাশক স্প্রে করতেছি। সরকাররের নির্দেশনা মোতাবেক সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারপরও কিছু মানুষ আইন অমান্য করে অযথাই বাইরে ঘোরাঘুরি করে। এদের কোন ভাবেই ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে তারা ঘরে থাকে।
কমান্ডার আরো বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় স্ব-স্ব উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেরের উপস্থিতিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যদি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কারণ যথাযথ ও যুক্তিযুক্ত মনে হয়ে তাহলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। না হলে তাকে জরিমানা গুনতেই হবে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এসময় তিনি খবরবাংলা২৪ডটকমের মাধ্যমে টাঙ্গাইলবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, যত কষ্টই হোক, আপনারা ঘরে থাকুন। নিজের ও পরিবারের মৃত্যুর কারণ হবেন না।