নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে নয় বছরের এক শিশুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে করে ব্যর্থ হয়ে মুখে আগুনের ছ্যাকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে স্থানীয় মাতাব্বর, পুলিশসহ আইন সহায়তাকারীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বাবা-মা।
এ ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর ওই শিশু বাবা মাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে আসামীরা।
অভিযোগ তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার হয়েছে।
অভিযোগে সদর উপজেলার বেলটিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত মন্টু মিয়ার ছেলে মো. লিটন (৫৮), লিটনের ছেলে মো. শিমুল (২০), মৃত শামছুল হুদার ছেলে মো. শাহিনশাহ (৫০) ও মো. বায়েজিত (৪২)।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই শিশুর বাবা মা বেলটিয়াবাড়ী গ্রামে বাসা ভাড়া থাকেন। শিশু বাবা রিকশা চালক ও মা অন্যের বাসায় আয়ার কাজ করেন।
গত ১৫ মার্চ বাবা মা কাজে গেলে ওই শিশু পাশ্ববর্তী মুদি দোকানে সদাই কিনতে যায়।
এই সময় ওই শিশুকে লিটন ডেকে নিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়; রাজি না হলে শিশুর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় লিটন।
এক পর্যায়ে লিটন ম্যাচ লাইট দিয়ে শিশুর মুখে ছ্যাকা দেয়। এতে শিশুটির বাম চোখের কোনে পুড়ে যায়।
পরে শিশুটি দৌড়ে গিয়ে তার মাকে বিস্তারিত বলে।
ওই শিশুর মা স্থানীয় মাতাব্বরদের বিষয়টি অবগত করলে সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করার আশ্বাস দিলেও তা হয়নি।
পরে ১৮ মার্চ শিশুটির বাবা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পর আসামীরা অভিযোগ তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
ভূক্তভোগী ও অভিযুক্তের কথা –
ওই শিশুর মা বলেন, গ্রামের মাতাব্বররা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলেও আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সমাধান করেনি।
সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মাতাব্বরসহ আইনসহায়তাকারীদের ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
শিশুর বাবা বলেন, মামলাটি তুলে নিতে আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে আসামীরা।
আমার মেয়েকে যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তাদের শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. লিটন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনি যা পারেন লিখেন।
পুলিশের কথা –
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মজিদ বলেন, আমরা সরেজমিন গিয়ে চড় থাপ্পরের কথা জানতে পেরেছি।
শ্লীলতাহানীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনার কোন কথা থাকলে আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো। সম্পাদনা – অলক কুমার