টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ছোটচওনা গ্রামের গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নিহত সুমাইয়ার মা সুফিয়া খাতুনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার মামাতো ভাই লিটন সিকদার।
লিখিত বক্তব্যে পরিবার জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে কৃষিজীবী বাহাদুর মিয়ার ছেলে বাবলু মিয়ার সঙ্গে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বাবলু মিয়ার বেকারত্ব, নেশাগ্রস্ত জীবন, কিশোর গ্যাং–যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক চাপে সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন চলত।
সম্প্রতি বাবলু মিয়া একটি অটোরিকশা কেনার জন্য সুমাইয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সুমাইয়া তাকে ১০ হাজার টাকা দিলেও বাকি টাকার জন্য তাকে নিয়মিত চাপ প্রয়োগ ও মারধর করা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাবার বাড়ি যেতে দিত না এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
পরিবারের দাবি, ১২ নভেম্বর রাতে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে সুমাইয়াকে হত্যা করা হয়। এরপর ভোরে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে স্থানীয়দের বিভ্রান্ত করা হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠালেও পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো হয়নি। পরে বাবলু মিয়ার পরিবার লাশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দ্রুত কবরস্থ করে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বাবলু মিয়ার পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাপ সৃষ্টি করছে এবং আপোসে রাজি হওয়ার জন্য নানা হুমকি দিচ্ছে। এতে নিহত সুমাইয়ার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে সুমাইয়া হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, অভিযুক্ত বাবলু মিয়া ও তার মা-ভাইদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবার, প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।











