সখীপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে চিরকুট গুঁজে দিয়ে মুঠোফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আর ওই চিরকুটে দুটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া আছে।
ছিনতাইকারীরা মুঠোফোন দুটি পেতে ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে।
এদিকে এই ছিনতাই চক্রকে চিহ্নিত করতে গতকাল শনিবার মামুন আহমেদ (২১) নামের আগের এক ছিনতাই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
রোববার সকালে আসামি মামুনকে রিমান্ডে চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে সখীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের গান্ধিনাপাড়া এলাকায় ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির নাম সুমন আহমেদ (৪৫)। তিনি উপজেলা পরিষদের ঝাড়ুদার পদে চাকরি করেন।
সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাত আটটার দিকে সুমন ফোনে কথা বলতে বলতে বাইসাইকেলে করে তাঁর বাসায় ফিরছিলেন।
এসময় ৭ নং ওয়ার্ডের গাঙ্গিনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ছিনতাইকারী সুমনের হাত থেকে ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত চলে যায়।
পেছনে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ব্যক্তি হতভম্ব সুমনের হাতে মুঠোফোন নম্বর লেখা একটি চিরকুট গুঁজে দিয়ে মুঠোফোন ফিরে পেতে ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলে।
পরে সুমন এই চিরকুট নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে ঘটনা বর্ণনা করেন।
চেয়ারম্যান নম্বর দুটি রাতেই সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে দেন। এই ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ছিনতাইকারীদের খুঁজছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মামুন গত ২৫ মার্চ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের এসডিএস মোড় এলাকায় দিনদুপুরে এক নারীর মুঠোফোন ও ৩০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের এজাহারভুক্ত আসামি।
তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে ছিনতাই চক্রের তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন; এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের ঝাড়ুদার সুমনের মুঠোফোন উদ্ধারে অভিযান চলছে।
