সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা শিগগিরই দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা পেতে যাচ্ছেন। বিষয়টি এখন কেবল প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়। অনুমোদন মিললেই প্রজ্ঞাপন জারি করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে ৪৫ জন রিটকারী প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে, যা এসেছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে। অর্থ মন্ত্রণালয়ও এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে। বাকি প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও সরকার ইতিবাচকভাবে বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, “দশম গ্রেড বাস্তবায়ন শিগগিরই হবে।”
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, “শুধু রিটকারীরা নয়, সকল প্রধান শিক্ষকই দশম গ্রেড পাওয়ার অধিকার রাখেন।”
তাদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে দশম গ্রেড কার্যকর করে প্রজ্ঞাপন জারি
সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি
১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান
অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে ১১তম গ্রেডের দাবি জানিয়ে আসছে সহকারী শিক্ষকরা। তবে সরকারের কনসালটেশন কমিটি তাদের জন্য ১২তম গ্রেড ও ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক’ পদ সৃষ্টির সুপারিশ করেছে, যা শিক্ষক সংগঠনগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি ও সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৩০ আগস্ট বিভাগীয় কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
তাদের তিনটি মূল দাবি:
- সহকারী শিক্ষক পদে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন
- উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন
- দ্রুত ও শতভাগ প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি
সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-গ্রেড ইস্যুতে এই মুহূর্তে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।