ধনবাড়ী সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছেন, এ জন্য আমি চির কৃতজ্ঞ। এটা টাঙ্গাইলসহ মধুপুর-ধনবাড়ীবাসীর জন্য উপহার।
আমাকে তিনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সে দায়িত্ব আমি নিষ্ঠারসাথে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবো।
শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যােগে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন – অতিথি করা হয়নি সাবেক মন্ত্রীকে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের হুমকির অভিযোগ
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, টাঙ্গাইলের মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করে, যেন মারামারি হানাহানি না করে, কারো জায়গা সম্পত্তি যেন দখল না করে, এটা আমার অনুরোধ।
কারো সাথে কেউ লাগবেন না, তাহলেই দেখবেন সবাই ভালো আছে।
আমার সাধ্যমত জনগণের স্বার্থে টাঙ্গাইলসহ সারাদেশের উন্নয়ন করব।
সামনে শিক্ষার নতুন একটা কারিকুলাম আসতেছে। আমরা সুশিক্ষিত হয়ে যেন সোনার বাংলা গঠন করতে পারি এ প্রত্যাশা করি।
ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর ফারুক আহমেদ ফরিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জরুল ইসলাম তপন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি বদিউজ্জামাল সোহাগ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকী, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু, মধুপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মাসুদ পারভেজ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অধ্যাপক মেহেরুল হাসান সোহেল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনিসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেত্রী শামসুন নাহার চাঁপা বর্তমানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক।
তাঁর বাড়ি ধনবাড়ী উপজেলার মুসুদ্দিতে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়।
সাবেক মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিক্রিয়া –
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে অতিথি হিসেবে রাখা হয়নি।
আরো পড়ুন – অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
এনিয়ে আব্দুর রাজ্জাক অনুসারীরা সমালোচনা করলেও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে সাদরে গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।
অনেকেই জানিয়েছে, তিনি যখন মন্ত্রী ছিলেন, তখন ত্যাগী নেতাকর্মী নয়, দালাল ও হাইব্রিড নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করছেন।
তার বিএনপি পন্থী আত্মীয়-স্বজনদের মূল্যায়ন করেছেন।