সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৪ মে) সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন এই আদেশ দেন।
আসামিরা হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষে আজ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
জামিন আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শঙ্কর দাস, সদস্য অমল কর, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মাজহারুল ইসলাম উকিল, সাধারণ সম্পাদক এহসান আহমদ উজ্জ্বল এবং মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ফজহলুল হক। এছাড়া জেলা যুবলীগের সদস্য নূরুল ইসলাম বজলুকে অসুস্থতা বিবেচনায় জামিন দেন আদালত।
মামলার বিষয়ে জানা যায়, আন্দোলনে আহত জহুর আলীর ভাই হাফিজ আহমদ গত ৫ সেপ্টেম্বর দ্রুত বিচার আইনে ৯৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে বাদী আদালতে আবেদন করে মামলাটি চালিয়ে না নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে বাদী এবং তার আহত ভাই অভিযোগ করেন, একটি গোষ্ঠী মামলাটি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মল্লিক মঈনুদ্দিন সোহেল জানান, “আসামিরা চার্জশিটভুক্ত এবং ছাত্র আন্দোলনে হামলার সঙ্গে জড়িত। আদালত যথাযথভাবে জামিন নামঞ্জুর করেছেন।”