বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনই বিতর্কের বাইরে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, “যদি রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোয় পরিবর্তন না আসে, তবে হাজার বছরেও এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।”
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতে হাজির হয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমি স্বীকার করি, নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। কিন্তু তা কি আমার কারণে? আমার জীবনে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই। দেশের প্রতিটি নির্বাচনই বিতর্কিত ছিল।”
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে, হাবিবুল আউয়ালের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘ডামি’ ও ‘প্রহসনের’ মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এবং তা আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতেই পরিকল্পিতভাবে করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্যে আরও বলা হয়, হাবিবুল আউয়াল সাংবিধানিক পদে থেকে জনগণের ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন করেছেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও তা বাস্তব নির্বাচন ছিল না।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এমিল হাসান রুমেল রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি। মামলায় বলা হয়, তার অধীনে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছিল।