জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা ভারতে পালিয়ে গেছেন—এমন কোনো নিশ্চিত তথ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডিএমপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ ঘটনায় টার্গেট কিলিংয়ের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করে এর মালিক আব্দুল হান্নানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে মধ্যরাতে পল্টন থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। তবে হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া দুই ব্যক্তি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তারা বিদেশে পালিয়ে গেছে কি না, সে সম্পর্কেও নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে দাবি করেন, অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরসাইকেলচালক আলমগীর হোসেন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তার দাবি অনুযায়ী, তারা বর্তমানে ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরে অবস্থান করছেন।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতে অবস্থানকালে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। এছাড়া নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং একই ধরনের আরও হামলার চেষ্টা থাকতে পারে।
এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে এবং তদন্তের স্বার্থে সব দিক গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।











