একের পর এক ম্যাচ হারছে শাকিব খানের দল। সিলেটে এসেও ভাগ্য বদল হয়নি ঢাকা ক্যাপিটালসের।
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারের বৃত্তেই আটকে ঢাকা ক্যাপিটালস।
মিরপুরে তিন ম্যাচের সবকটিতে হেরে প্রত্যাশা ছিল সিলেটে অন্তত ভাগ্য বদলাবে।
সেজন্য একাদশেও ব্যাপক রদ-বদল করেছিল। কিন্তু কোনও লাভ হলো না।
আগে ব্যাটিং করে ১১১ রানের লো স্কোর জমা করে ঢাকা।
জবাবে টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে থাকা রংপুর রাইডার্স ১৩.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে থিসারা পেরেরার নেতৃত্বাধীন ঢাকা ১১১ রান তুলতেই অলআউট হয়েছে।
মামুলি এই স্কোর তাড়া করতে রংপুরকে বেগ পেতে হয়নি কোনও। দারুণ ছন্দে থাকা দলটি ১৩.২ ওভারে সাবলীল ব্যাটিং করে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে।
গতবারের রানার্স আপদের হয়ে অ্যালেক্স হেলস সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন।
এছাড়া খুশদিল শাহ ১৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন বাবু ও মোসাদ্দেক হোসেন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
গত তিন ম্যাচেই ঢাকাকে ভুগিয়েছে দলটির ব্যাটিং।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে এবার একাদশেই কেবল বদল নয়, পজিশনও পাল্টে ফেলে অনেক ব্যাটারের। লিটন যেমন জায়গা বদল করে নেমেছিলেন। যদিও লাভ হয়নি তাতে।
চার নম্বরে নেমে আজও সিঙ্গেল ডিজিটে ফিরেছেন। নতুন করে উড়িয়ে আনা জেসন রয়ও খুব বেশি রান করতে পারেননি।
আজ প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ইংলিশ এই ব্যাটার খেলেছেন ১৮ রানের ইনিংস।
সর্বোচ্চ ২০ রান আসে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে। অতিরিক্ত খাত থেকে ১৭ রান না এলে ঢাকার স্কোর একশ পার হতো না।
মঙ্গলবার থিসারা পেরেরার দল ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি।
১৬.৩ ওভার ব্যাটিং করে সব উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস থামে ১১১ রানে।
মঙ্গলবার টস জিতে বোলিংয়ে নামা রংপুর শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ব্যবহার করেন সাতজন বোলার। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বাদে বাকি সবাই ছিলেন সফল।
দুটি করে উইকেট নিয়েছেন খুশদিল শাহ ও আকিফ জাভেদ। ঢাকার ব্যাটারদের ভোগান্তি বাড়িয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান ও কামরুল ইসলাম।