হার্টের অসুখ নিয়ে আলোচনা হলেও, অধিকাংশ মানুষের ভয় থাকে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ বা ধমনি ব্লকেজের দিকে। কিন্তু হৃদরোগের আরেকটি নীরব শত্রু হলো উচ্চ পটাসিয়াম বা হাইপারক্যালেমিয়া, যা হঠাৎ অ্যারিথমিয়া বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
পটাসিয়াম শরীরের জন্য অপরিহার্য খনিজ। এটি হৃদযন্ত্রের ইলেকট্রিক্যাল ছন্দ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তবে মাত্রার সামান্য বৃদ্ধি হলেও সমস্যা হতে পারে।
কেন পটাসিয়াম বেড়ে যায়?
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত কলা, আলু ও অন্যান্য পটাসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সাধারণত সমস্যা তৈরি করে না। কিন্তু যাদের কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত পটাসিয়াম জমা হতে পারে। কারণ কিডনি অতিরিক্ত পটাসিয়াম শরীর থেকে বের করার দায়িত্বে থাকে।
কাদের জন্য ঝুঁকি বেশি?
-
কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, বিশেষ করে ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগীদের
-
উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা
-
রক্ত পাতলা করার ওষুধ বা কিছু অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণকারীরা
কোন খাবারে থাকে বেশি পটাসিয়াম?
-
ফল: কলা, আপেল, কমলালেবু, অ্যাভোকাডো, এপ্রিকট, শুকনো ফল
-
শাকসবজি: পালং শাক, কুমড়া, বেগুন, শসা, আলু, মিষ্টি আলু, গাজর
-
ডাল ও শিম জাতীয় খাবার
করণীয়:
-
নিজে থেকে কখনো পটাসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করবেন না
-
কিডনি বা হৃদরোগ থাকলে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করান
-
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডায়েট থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বাদ দেবেন না
-
পটাসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার মাত্রা ও নিয়ম চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারণ করুন
সতর্কবার্তা:
হাইপারক্যালেমিয়া এখনও অনেকের কাছে অপরিচিত, তবে হৃদরোগের জন্য এটি হতে পারে প্রাণঘাতী নীরব শত্রু। শুধু কোলেস্টেরলের দিকে নজর দিলে হবে না, পটাসিয়ামের দিকে সতর্ক থাকা জরুরি।