বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বাসাইলে দাপনাজোর গ্রামের মার্থা লিন্ডষ্ট্রম-নুরজাহান বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে পাশের ওয়াটার গার্ডেন রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের গেইট অপসারণের জন্যে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটি সরেজমিনে গিয়ে রিসোর্ট কতৃপক্ষকে এই সময় বেঁধে দেয়।
অতি সম্প্রতি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সভা কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শরিফুল ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
আরো পড়ুন – বাসাইলে রিসোর্ট ও স্পা সেন্টারের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা
এ কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার বাসাইলের দাপনাজোর গ্রামে মার্থা লিন্ডষ্ট্রম-নুরজাহান বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন; জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম ও বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
এছাড়াও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মানসুর রহমান, কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রমজান মিয়া, রিসোর্টের পক্ষ থেকে জেনারেল ম্যানেজারসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন রিসোর্ট কতৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় বৈধ কাজপত্র দেখতে চাইলে তাৎক্ষনিকভাবে রিসোর্ট কতৃপক্ষ তা দেখাতে পারেনি।
তদন্ত কমিটি এ সময় স্কুলের আঙ্গিনা ও রিসোর্টের জায়গা ঘুরে দেখেন।
এ সময় উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পর্যালোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়।
আরো পড়ুন – নিবিড় তদন্তের জন্য শিহাব হত্যা মামলা সিআইডিতে- এসপি
এদিকে মঙ্গলবার খবরবাংলা২৪.কম, জাতীয় দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকাসহ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় “বাসাইলে রিসোর্ট ও স্পা সেন্টারের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা” শিরোনামে বিশেষ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে জেলার পাঠক, শিক্ষানুরাগী ও সুশীল সমাজের মাঝে।
উল্লেখ্য :
টাঙ্গাইলের বাসাইলের দাপনাজোর গ্রামে ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত একটি রিসোর্টের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে এমপিওভুক্ত একটি বালিকা বিদ্যালয়।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে বিএনপির কর্মসূচিতে সরকারদলীয় হামলা; আহত ১০
বিদ্যালয়ের পাশে ওয়াটার গার্ডেন রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের বেড়াতে আসা লোকজনের নানা অশ্লীলতার কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা।
এছাড়া রিসোর্টের আলাদা কোন ফটক না থাকায় বালিকা বিদ্যালয়ের উপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী সেখানে প্রবেশ করছে।
এছাড়াও প্রতিদিন রিসোর্টে বেড়াতে আসে প্রচুর উঠতি বয়সী যুবক যুবতীসহ নানান শ্রেণির মানুষ।
তাদের অশ্লীল চলাফেরা, আচরণ ও ব্যক্তিগত যানবাহন অবাধে চলাচল এবং পার্কিংয়ের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে।
এর সাথে সাথে শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।
তাছাড়া এই ধরণের অশ্লীল আচরণের সম্মুখীন হতে হতে উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ নষ্ট ও বিপথগামী হওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন অভিভাবকরা।
আরো পড়ুন – নাগরপুরে আট মাসে ৯ বার সেতু ধ্বস, দায় কার?
সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অভিভাবকরা মেয়েদের অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে স্কুলের কতৃপক্ষ। সম্পাদনা – অলক কুমার