নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারী রাস্তা ঘেঁষে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করায় ছেলের কাজে প্রতিবাদ করেন এক মাটি বিক্রেতার মা।
মায়ের কথায় কর্ণপাত না করে ছেলে অবৈধভাবে সরকারী রাস্তা ঘেঁষে মাটি কেটে বিক্রি করতে থাকে।
এই ঘটনায় ওই সরকারি রাস্তা রক্ষায় মা নিজের সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বাসাইলের এসিল্যান্ড কাছে।
কিন্তু ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন প্রতিকার পাননি ওই মা।
এদিকে সামনে বর্ষা কাল বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙে এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কথায় উদ্বিগ্ন মা। তিনি সাংবাদিকদের স্মরণাপন্ন হন।
এই বিষয়ে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ঘুম ভাঙে বাসাইলের এসিল্যান্ডের।
১৮তম দিনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিয়ান নুরেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সেখানে।
এসময় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ওই মাটি ব্যবসায়ী মাসুদ পালিয়ে যায়।
এসময় তার সহযোগী তানভিরকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ওই স্থানে মাটি কাটা বন্ধ করে দেন।
এছাড়াও তিনি কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়ায় আরো একটি অভিযান পরিচালনা করেন এসময়।
সেই অভিযানে মনির নামের আরো এক অবৈধ মাটির ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের যৌতুকী এলাকায় সড়ক ঘেঁসে অবৈধভাবে মেহেদী মাসুদ নামের এক ব্যক্তি ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল।
পরে মাসুদের মা মনোয়ার বেগম সড়ক ভেঙে যাওয়ার শঙ্কায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
আবেদনের ১৫ দিন পর পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ১৮ দিনের দিন এসিল্যান্ড এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযোগকারী মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে মেহেদী মাসুদ সড়ক ঘেঁসে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল।
সড়ক ভেঙে যাওয়ার শঙ্কায় এসিল্যান্ডের কাছে লিখিত আবেদন করি। আবেদনের ১৮ দিন পর এসিল্যান্ড এসে মাটি কাটা বন্ধ করে গেছেন।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিয়ান নুরেন অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ সম্পাদনা – অলক কুমার