নিজস্ব প্রতিবেদক : শাজাহান সিরাজের কন্যা ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ বলেন, ৩রা মার্চ শুধু স্বাধীনতার ইশ্তেহার পাঠের দিন নয়; এটি সেই দিন যে দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাত্র-জনতা প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে জাতির জনক অভিধায় অভিসিক্ত করে।
নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য পাঠ্যসূচিতে ইশতেহার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।
আলোচনা সভায় টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক বলেন, শাজাহান সিরাজসহ ইতিহাসখ্যাত চার খলিফার অবদান স্মরণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রকৃত ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া আহবান জানান।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক ইতিহাস খ্যাত চার খলিফার একজন নূর-ই-আলম সিদ্দিকী; জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শেখ শহিদুল ইসলাম; সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিন; একুশে পদক প্রাপ্ত কবি ও সাবেক ছাত্রনেতা আল-মুজাহিদী।
ইতিহাসখ্যাত চার খলিফার একজন নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, অন্ধের হস্তী দর্শনের মতো যে যার দৃষ্টিভঙ্গীর মতে স্বাধীনতার ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করেছেন।
স্বাধীনতার মূল নেতা, স্থপতি ও প্রেরণার জ্বলন্ত উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু কিন্তু ছাত্রলীগ ছিল তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মূল চালিকাশক্তি; বঙ্গবন্ধু ইঞ্জিনিয়ার হলে ছাত্রলীগ ছিলো রাজমিস্ত্রী।
সভায় খন্দকার নাজিম উদ্দিন বলেন, শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকালে বঙ্গবন্ধুর মৌনতাই এই ইশতেহারের বক্তব্যের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থনকে প্রমাণ করে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, শাজাহান সিরাজ ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রাবেয়া সিরাজ।
এছাড়াও সভার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যোগদেন একাধিক আলোচক।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতার সম্মুখে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ। সম্পাদনা – অলক কুমার