দেশজুড়ে নির্বাচনী মেজাজে এখন বিএনপি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে অনেক জায়গায় দেখা দিয়েছে সংঘাতময় পরিস্থিতি, যার প্রভাব পড়ছে স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক পরিবেশে।
দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বসে নেই। কয়েক সপ্তাহ ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিসে জেলার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন সিনিয়র নেতারা। কিছু বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বগুড়ার জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জানান, সম্প্রতি তারেক রহমান সরাসরি ফোন করে মাঠে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বগুড়া ও মেহেরপুরসহ বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থীদের এমন ফোন পাওয়া গেছে।
বগুড়া-১ আসনে কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩-এ আবদুল মহিত তালুকদার, বগুড়া-৪-এ মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৫-এ জি এম সিরাজ, মেহেরপুর-১-এ মাসুদ অরুণ এবং মেহেরপুর-২-এ আমজাদ হোসেনকে মাঠে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক রহমান।
আমজাদ হোসেন বলেন, “গাংনীতে ধানের শীষকে শক্তিশালী করতে এবং ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
একইভাবে রাজধানীতেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঠে নামতে বলা হয়েছে। ঢাকা-১৬ আসনে আমিনুল হক, ঢাকা-৮-এ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৪-এ তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-১৩-এ ববি হাজ্জাজ এবং ঢাকা-১৭-এ আন্দালিব রহমান পার্থকে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান, “সরকারের অপকর্ম ও জনগণের ওপর দমন-পীড়ন সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে আগে থেকেই মাঠে নামা জরুরি। নির্বাচনের সময় এই বার্তা ছড়ানোর সুযোগ কম থাকে।”
দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়া নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিকভাবে শেষ হবে বলে জানা গেছে। তবে জোটের সঙ্গে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে অন্তত ৫০টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে।