টাঙ্গাইলের এক অবিবাহিত শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। সন্তানটি সমাজের চোখে অবৈধ সন্তান হলেও এই সন্তানের পিতৃ পরিচয় আছে। যিনি পলাতক। শুধু একজন মা’ই জানে তার গর্ভের সন্তানটি কার। আর সেই কিশোরী মা ইসমাইল হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে এই সন্তানের বৈধ পিতা বলে দাবী করছেন।
এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের কলিয়া পূর্বপাড়ায়। আর সন্তানটি ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকেই ইসমাইল হোসেনও পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জেলার বাসাইলে ধর্ষণের শিকার অবিবাহিত শারীরিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়। পরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ঐ ধর্ষিতা কিশোরী।
কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বের রাতে ওই এলাকার একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে ফিরছিলেন। এসময় অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে চকের একটি মেশিন ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ওই কিশোরী ভয়ে পরিবারের কাউকে কিছু জানায়নি।
প্রায় তিন মাস পর কিশোরীর শারীরিক গঠনের পরিবর্তন ঘটলে বিষয়টি পরিবারের নজরে আসে। পরে কিশোরী পরিবারের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে অন্তঃস্বত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবারের লোকজন।
ওই সময় ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য একটি মহল পায়তারা চালায়। প্রভাবশালীদের ভয়ে ওই সময় মামলা করতেও সাহস পায়নি অসহায় পরিবারটি। এমতাবস্থায় গত ১০ অক্টোবর ওই কিশোরী কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। এঘটনায় সম্প্রতি ওই কিশোরীর পরিবার বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন পলাতক রয়েছে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী বলেন, ‘এখন আমি শিশুটি নিয়ে সমস্যায় আছি। তাকে খাওয়ানোর মতো আমার সামর্থ্য নেই। আমি ওই ইসমাইলের বিচার চাই।’
অভিযুক্ত ধর্ষক ইসমাইল হোসেন (৫৫) উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের কলিয়া পূর্বপাড়া এলাকার মৃত গোমর মিয়ার ছেলে।