নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন- আসন্ন ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যনজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন প্রস্ততি নিয়েছি।
আশা করছি সকলের প্রচেষ্টায় অন্য বছরের তুলনায় এবার ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানজট ও যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কম হবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহাসড়কে যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করতে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন – কিভাবে এতো অস্ত্র এলো এই প্রবাসীর কাছে?
তিনি বলেন, মহাসড়কে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য আলাদা লেন করা হয়েছে।
মহাসড়কে ঈদের যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সাথে আমিও মাঠে থেকে খোঁজখবর রাখবো।
এছাড়া মহাসড়কের ৩২টি পয়েন্টে পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব পালন করবেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক, বিআরটিএ- এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত ডিভাইডার বিহীন (সড়ক বিভাজন) দুই লেন হওয়ায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজট হয়।
স্বাভাবিক অবস্থায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন পারাপার হয়।
আরো পড়ুন – ঘাটাইল থানার ওসির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধন
ঈদের আগে-পরে ৪৫-৫০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক যানবাহন পারাপার হওয়ায় দুই লেনের সড়কে জট লেগে যায়। সম্পাদনা – অলক কুমার