ঘাটাইল থানার ওসির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধন

ঘাটাইল থানার ওসির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধন

ঘাটাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলার দক্ষিণ ধলাপাড়া এলাকায় ভূক্তভোগী এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

মানববন্ধনে আরিফের চাচা আ. মালেক, আ. ছালাম, আবুল হোসেন, জালাল উদ্দিন, আব্দুল হকসহ দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়।

আরো পড়ুন – গলার কাটা হতে পারে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার রাস্তা

জানা যায়, ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম দক্ষিণ ধলাপাড়া গ্রামের মৃত মহসিন মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া ও তার স্ত্রী শাহিদা আক্তারের বিরুদ্ধে তার সৎ মা খোদেজা বেগমকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে আরিফের স্ত্রীসহ স্থানীয়রা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

আরো জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জোড়দিঘী বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করে।

পরে বিজয়ী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেয়।

এবিষয়ে ভূক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে ঘাটাইল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

পরবর্তীতে ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উল্টো বাদিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মামলা দিয়ে হয়রানির করার হুমকি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রবাসী আরিফ দীর্ঘ ২০ বছর প্রবাস থেকে কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর পাকা ভবন তৈরি করেন।

সম্প্রতি তিনি দেশে আসলে ওসি কৌশলে তার সৎ মা খোদেজা বেগমকে বাদী বানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন।

মামলার পূর্বেই ওসি প্রভাব খাটিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

আরো পড়ুন – অধ্যক্ষ হতে জেলার শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে দৌঁড়াদৌঁড়ি প্রার্থীদের

ভূক্তভোগী শাহিদা আক্তার বলেন, ওসি আমার স্বামীর নির্মিত ভবন থেকে আমাদের জোরপূর্বক বিতারিত করে।

এছাড়াও প্রতিদিন পুলিশ এসে শাসিয়ে যায়। ওসির নির্যাতনের ভয়ে তার স্বামী দ্রুত বিদেশে চলে যান।

অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত মামলা হিসেবে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিলো।

পরে তারা জামিনে এসে আরিফ বিদেশ চলে গেছে। আমি কারও ঘর দখল করে দেইনি বলেও তিনি জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার