মধুপুর সংবাদদাতা : দেশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে দখলদারদের পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ।
আর এ সিদ্ধান্তের ফলে উচ্ছেদ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর মানুষের মাঝে।
তাদের দাবি, বংশপরম্পরায় বনাঞ্চলে বসবাস করলেও তাদের গ্রামগুলোকে গেজেট করে সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবাদে মধুপুর বনাঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী মানুষ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় মধুপুর আনারস চত্ত্বরে শুরু হওয়া মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি উইলিয়াম দাজেল, আজিয়া সভাপতি মিঠুন হাগিদক, আচিকমিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা ম্রং, কোচ নেতা গৌরাঙ্গ বর্মন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের নেতা জন জেত্রা, অলিক মৃ, শ্যামল মানখিন।
এসময় বক্তব্য মধুপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহম্মেদ নাসির; শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন; ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম; বেরীবাইদ ইউপি চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন; অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম প্রমুখ।
এছাড়াও এসিডিএফ, কোচ আদিবাসী সংগঠন, জলছত্র হরিসভা, সিবিএনসি, ইআইপিএলআর, আবিমা আদিবাসী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি, পীরগাছা থাংআনি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি., জিএমএডিসি মানববন্ধনে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা, মধুপুরে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর ভূমি চিহ্নিত করার এবং তাদের স্বত্বদখলীয় ভূমি সমূহ স্থায়ী বন্দোবস্তের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
পরে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা আদিবাসীদের ভূমি চিহ্নিত করে; মধুপুর বনাঞ্চলের সংরক্ষিত, জাতীয় উদ্যান, ইকোপার্ক ঘোষণাকে বাতিল করে তাদের সাথে অর্থপূর্ণ আলোচনার ব্যবস্থা করা; ১৯৮২ সালের আতিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিল করে তাদের রেকর্ড জমির খাজনা নেওয়া বন্ধ আবার চালু করার ব্যবস্থা করা; তাদের স্বত্বদখলীয় ভূমিসমূহ স্থায়ী বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা; বন মামলাসমূহ ভ্রাম্যমান আদালত সৃষ্টি করে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা; সামাজিক বনায়ন বাতিল করে প্রাকৃতিক বন রক্ষার দায়িত্ব তথা কমিউনিটি ফরেষ্ট্রি বা গ্রামবন পদ্ধতি চালু করার দাবি জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার