অলক কুমার : কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেও টাঙ্গাইলে সৃষ্টি স্কুলের আবাসিকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবের মৃত্যুর ঘটনায় ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুন) রাতে শিহাবের মা আছমা আক্তার বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এই ঘটনায় সন্দেহজনক পুলিশ দুইজনকে আটক করলেও মামলায় নাম না থাকায় নাসির নামে এক শিক্ষককে ছেড়ে দেয়।
অপর শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। এসময় সিনিয়র জুজিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামছুল আলম ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন – স্কুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে, শিহাবের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রবিবার (২৬ জুন) ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
এরআগে গত ২০ জুন শহরের সুপারি বাগান এলাকায় সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবনের সাত তলা থেকে শিহাব মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত শিহাব মিয়া (১১) জেলার সখিপুর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে; শুরু থেকেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ তুলে আসছিল তার পরিবার।
পরে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।
আরো পড়ুন – বিবস্ত্র সাংবাদিকতা!!
এদিকে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের পর রবিবার বিকেলে র্যাব সাত জন শিক্ষক ও পুলিশ দুইজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে; পরে র্যাব তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য না পাওয়ায় তাদের সাতজনকে ছেড়ে দেয়।
এবিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন গ্রেপ্তার ও রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘মৃত শিহাবের মা বাদী হয়ে ছয় জনের নামীয় এবং আরও ৮-১০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।