আধিপত্য ধরে রাখতে কুলি সরদারকে পিটিয়ে আহত করল হযরত বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু সেতুপুর্বপাড়ে ট্রাক লোড-আনলোড পয়েন্টের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুলি সর্দার আকবর আকন্দকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়েছে।

শনিবার (১০ অক্টোবর) গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত তালুকদার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা করে কুলি সর্দার আকবর আলীর উপর।

এসময় তারা আকবরকে দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি, লোহার রড, হকস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হরযত তালুকদারসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ছেলে সালাউদ্দিন তালুকদার, ভাতিজা জাহাঙ্গীর তালুকদার, ইমান হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, এনামুল হক ও লেবু মিয়া।

আহত কুলি সর্দার আকবর ভল­ব বাড়ী গ্রামের এনছের আলীর ছেলে।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুপুর্বপাড়ে লোড-আনলোডের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান বাহিনী ও কুলি সর্দার আকবের সাথে বিরোধ চলছিল।

সেই বিরোধের জের ধরে শনিবার সকালে চেয়ারম্যান হরযত তালুকদার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুলির সরদার আলী আকবর উপর হামলা করে।

এ সময় চেয়ারম্যান ও তার দলবল হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কুলি সরদার আলী আকবরকে গুরুতর আহত করে।

স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কুলি সর্দার আকবর আকন্দকে একা পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ওবায়দুল, শহিদুল, সালাউদ্দিন, ভাতিজা মমিন তালুকদার, ইসরাফিল তালুকদার, হাফিজুর তালুকদার, মিজানুর তালুকদার, ইউসুফ তালুকদার মিলে দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি, লোহার রড, হকস্টিক নিয়ে আকবরের উপর আক্রমণ চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আকবরকে একা পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হযরত হাতুড়ি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে পিটানো শুরু করে।

পরে সাথে থাকা অন্যান্যরাও লোহার রড ও হকস্টিক দিয়ে পিটিয়ে কুলি সর্দার আকবরকে গুরুতর আহত করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কাজী নুসরাত এদীব লুনা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চেয়ারম্যানসহ ৭ জন আটক করে।

এ ঘটনায় কালিহাতী থানায় চেয়ারম্যানসহ ২৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আহত কুলির সরদার আলী আকবর আকন্দের ভাই আবু বক্কার আকন্দ বাদী হয়ে এই মামলা করেছে।

পরে তাদেরকে টাঙ্গাইল জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।