ভূঞাপুরে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা; আদালতে মামলা; হত্যার হুমকি

ভূঞাপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী (১৩) ছয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে।

এবিষয়ে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং – ২৭৬।

এই ঘটনায় ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত গোপালের ছেলে শুভ (১৮) দীর্ঘদিন যাবত স্কুলছাত্রীটিকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত।

এছাড়া নানাভাবে ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ওই স্কুল ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

একপর্যায়ে চলতি বছর ০৮ মার্চ রাতে স্কুলছাত্রীটি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাইরে যায়।

সেই সুযোগে বখাটে শুভ লুকিয়ে তার ঘরের ভিতরে ঢুকে।

যখনই স্কুলছাত্রীটি ঘরের দরজা বন্ধ করে বিছানায় শোয়ার সাথে সাথে বখাটে শুভ বাম হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ডান হাতে থাকা গরু জবাই করার ছুরি তার গলায় ধরে হত্যা করার ভয় দেখাইয়া ধর্ষণ করেন।

সে সময় ওই ঘরে স্কুলছাত্রীটি একাই ছিল। পরে বিভিন্ন সময়ে বখাটে শুভ মেরে ফেলার ভয় দেখাইয়া বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন।

ক্রমাগত শারীরিক সম্পর্কের ফলে ওই স্কুল ছাত্রী গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

মামলায় তিনি আরো অভিযোগ করেন, গত ০৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ভূঞাপুর থানায় মামলা করিতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রভাবে থানায় মামলা গ্রহণ করে নাই।

তাই তিনি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।

পরে তিনি সাংবাদিকেদের বলেন, কোর্টে মামলা করার পর এলাকার প্রভাবশালী মো. শাহ আলম মামলা তুলে নেয়ার জন্য ধর্ষিতার বাবাকে হুমকি দিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, শাহ আলম ডিসি অফিসে চাকরি করেন, তাই তিনি সবকিছু করতে পারেন বলে তাদের শাষিয়েছেন।

এই বিষয়ে মো. শাহ আলম বলেন, শুভ আমার চাচাত ভাই। কিন্তু আমি এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দিব না।

আমিও ধর্ষণের বিচার চাই। আমি করোনা পজিটিভ।

আমি কারো সাথে কোন প্রকার বলি নাই। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে ভূঞাপুর থানার বক্তব্য –

থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে অভিহিত করেন ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম

তিনি বলেন, ভূঞাপুর থানায় কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।

আমি জনগণকে সেবা দেয়ার জন্যই এখানে আছি। জনগণকে সেবা দেয়াই আমার প্রধান ও অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।