কালিহাতী সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের গোপালদিঘী কেপি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে চুরি নিয়ে চলছে লুকোচুরি।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কাছে চুরি যাওয়া মালামালের বিরাট তালিকা দিলেও পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ-আলম বলেন, নৈশ প্রহরী আমাকে ফোন দিয়ে বললেন সোমবার ভোর রাতে স্কুলে চুরি হয়েছে।
পরে গিয়ে দেখি আমার এবং অফিস কক্ষসহ স্টোরের তালা ভাঙ্গা। সাথে সাথে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও সকল শিক্ষককে অবগত করি।
দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, প্রিন্টার, রাউটার, সোলার ব্যাটারি, ৩টি মনিটর, ১টি সিপিইউ, ১টি সাউন্ড সিন্টেম, ক্যামেরা স্ট্যান্ড, ১টি মাইক্রোফোন, ১টি প্রজেক্টর, নগদ এক লক্ষ ৭৪ হাজার ১৪০ টাকাসহ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। পরে থানা পুলিশকে জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কুদরত এলাহিকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন, স্কুলে চুরি হইছে, তাতে সাংবাদিকদের কি? পুলিশ আছে, তারা দেখবে।
এসময় তিনি বলেন, আমাকে আরো একজন সাংবাদিক ফোন দিয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, আপনি স্কুলে যান, থানায় যান, আমাকে ফোন দিয়েছেন কেন? এই বিষয় নিয়ে আমাকে আর ফোন দিবেন না বলে ফোন কেটে দেন।
পরে বিষয়টি জানতে সভাপতি কুদরত এলাহির ব্যক্তিগত মোবাইল (০১৭২৪২৮৯০৩৩) নম্বরে আরো দুইবার ফোন দিলেও তিনি চুরির বিষয়ে কথা না বলে সাংবাদিককে বলেন, যা খুশি লিখেন, কত সাংবাদিক দেখলাম।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন না দিতেই সভাপতি এই নাটক সাজিয়েছেন।
কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, আমাকে বিদ্যালয় থেকে ফোন দিয়ে বলেন, আমাদের স্কুল থেকে একটা ল্যাপটপ চুরি হইছে; একটি জিডি করতে হবে, পরে আবার ফোন দিয়ে বলেন, আজকে ব্যস্ত কালকে আসবো।
এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরী করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার