বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বংসম্পূর্ণ। যে দেশে খাদ্যের এত সংকট ছিল। আজকে সেই দেশে কৃষক ধান বিক্রি করতে পারে না। তিনি বলেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে এ জন্য আমাকে জবাবদিহি করতে হয়। ধানের দাম নাই কেন। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি ধান ও চালের দাম বাড়ানোর জন্য।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ডিএপি সারের দাম ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে। মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কে করতে পারে? এটা পারে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার। শেখ হাসিনা কৃষি বান্ধব, কৃষক বান্ধব। ৬০/৭০ ভাগ কৃষক গ্রামে বাস করে। কৃষকদের জীবনের মানোন্নয়ন করতে চান প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থে ধান লাগানো ও কাটার যন্ত্র ক্রয়ে সরকার অর্ধেক টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। উপকুলবর্তী এলাকায় এই ভুর্তুকি ৭০ ভাগ পর্যন্ত দিয়ে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমেই ভোট হবে এবং এই নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর হবে। এই নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা মহানগর দেশের রাজধানী। ঢাকাকে কেন্দ্র করে দেশের সংস্কৃতি অর্থনীতি সকল কিছুই আবর্তিত হয়। ঢাকায় যা হয় তারই ঢেউ লাগে সারাদেশে। এই নির্বাচনটিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
মন্ত্রী রোববার দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার কদিম ধল্যায় অবস্থিত ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজের দশম বর্ষপূর্তি উৎসবে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপি, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক ও কলেজ অধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি ঘোষ।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি রাজাকার আল বদররা এখনও দেশে অশান্তির নানা রকম পায়তারা করছে। নির্বাচনের আগেই বিএনপি বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। নির্বাচনের আগেই তারা জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা চায়। সেটা তো সরকার বলতে পারবে না। ভোট দেয়ার মালিক জনগণ। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই নির্বাচিত হবে।
সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে মন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে পৌঁছালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে কদিম ধল্যা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
মন্ত্রী তার বক্তৃতায় আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বর্তমানে এগারো বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে এবং দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে চাই। উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে আমরা সম্পৃক্ত করেছি। এটাকে আমরা তরান্বিত করতে চাই। আমরা শ্লোগান তুলেছি। গ্রামকে আমরা শহর করবো। শহরের সুযোগ সুবিধা দেব।
মন্ত্রী মান সম্মত শিক্ষার উন্নয়নে প্রশাসনসহ শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। এছাড়া আগামী এসএসসি পরীক্ষা যাতে নকল বিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ প্রদান করেন।