চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে না নামলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ রবিবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে, সংকট নেই। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকার ইতোমধ্যে ১০ হাজার হাই-ফ্লো মেশিন সরবরাহ করেছে। তিনি বলেন, “পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২ হাজার ৮০০ আবেদন জমা পড়েছে। ৪-৫ দিনের মধ্যে বাজারদর স্বাভাবিক না হলে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।”
গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এত দ্রুত দাম বাড়ায় বাজার তদারকি এবং সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জুলাই–অক্টোবর সময়ে দেশে আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার টন পেঁয়াজ, যেখানে গত বছর একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার টন।
বাজার স্বাভাবিক রাখতে সীমিত পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেন, “মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। দেশে যেখানে দাম ১১৫ টাকার ওপরে, প্রতিবেশী দেশে তা ৩০ টাকার মধ্যে। সীমিত আমদানি অনুমোদন দিলে বাজার স্থিতিশীল হবে।”
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বার্ষিক ৪৪.৪৮ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও সংরক্ষণ সমস্যায় ১১ লাখ টন নষ্ট হয়। বাজারে আসে প্রায় ৩৩ লাখ টন। গত বছর ৪.৮৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, যার ৯৯ শতাংশই এসেছে ভারত থেকে।
বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।











