গ্রাম পুলিশের ছেলে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। এক সপ্তাহ আগে তার ছেলেকে ইয়াবা বিক্রি করতে নিষেধ করায় তাদের সাথে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। সে জের ধরে তারা তিনজন আমাকে বেধরক মারপিট করে। আমি এর বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। কথাগুলো বলছিলেন ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী।
ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী আরো জানান, কচুয়ার চর এলাকায় গ্রাম পুলিশ রেকাত মিয়া গরু ধরতে গেলে ইউপি সদস্য বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে কাটাকাটি হয়। পরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গ্রাম পুলিশ রেকাত মিয়া তার ছেলে রুহুল মিয়া ও ফারুক মিয়াকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। গ্রাম পুলিশ ও তার দুই ছেলে গিয়ে লাঠি দিয়ে ইউপি সদস্যকে বেধরক মারপিট করে। পরে ইউপি সদস্য মাটিতে লুটিয়ে পরে। স্থানীয় শুকুম আলী ও লেবু মিয়া তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীকে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পুলিশ রেকাত মিয়ার বিরুদ্ধে। রোববার দুপুরে ইউনিয়নের কচুয়ার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইউপি সদস্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সে ওই এলাকার মৃত আবু বক্করের ছেলে।
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ রেকাত মিয়া বলেন, আমাদের নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। দুজনকে নিয়ে বসে সমাধান করা হবে।