টাঙ্গাইলে শহর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সক্রিয় সদস্য মানিক বাবু ও ছাত্রলীগের নেতা ইসমাইলকে ছাড়ানোর জন্য টাঙ্গাইল মডেল থানায় যায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আটককৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মানিক বাবু ও শহর ছাত্রলীগের কর্মী ইসমাইল।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল মডেল থানায় দেখা যায় জামাতের জেলা ও শহর শাখার নেতাকর্মীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে বসে আছে। পরে তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যে দুজন আটক হয়েছে তাদের ছাড়ানোর জন্য তদবীর করতে এসেছে।
টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহাম্মেদ বলেন, জামায়াতের লোকজন দাবী করছে তাদের কর্মী ও সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলো।গ্রেফতারকৃত ইসমাইল হোসেনের নামে টাংগাইল থানায় দুইটি নারী শিশু অপহরণ মামলাসহ মোট চারটি মামলা রয়েছে অপরজনের নামে কোন মামলা পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইল জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম বলেন,যে দুজন আটক হয়েছে তারা আমাদের কর্মী, তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে সঠিক তবে সেগুলো পুরাতন রিপোর্ট হতে পারে। তবে তারা এখন আমাদের কর্মী।পৌরসভার আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, একজনে এক দল করতেই পারে কিন্তু ২০১৯ সালে আমাদের দলের সহযোগী কর্মী হয়। অন্য দল হলে আমরা ছাড়াতে আসবনা। তবে আটককৃত দুজন আমাদের কর্মী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিগত সময়ে মানিক বাবু ও ইসমাইল দুজনে টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ছানোয়ার হোসেন,টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, শহর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মেহেদী হাসান ইমুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন মানিক বাবু ও ইসমাইল। তাদের সাথে বিভিন্ন সময়ের ছবিও রয়েছে এই দুজনের।
টাঙ্গাইল জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদ বলেন,দীর্ঘদিন আগে আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলো। কিন্তু এরপর সে আমাদের দলের হয়ে কাজ করছে। সে জামায়াতের সক্রিয় সদস্য এখন।