নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী দুুই সন্তানের জননী (৩১) ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের শুনসী গ্রামে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৫ আগষ্ট বৃৃহস্পতিবার নাগরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
এদিকে অভিযুক্ত ধর্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভিকটিম পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শুনসী গ্রামের সৌদি প্রবাসী রফিকুল দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রতিবেশী মৃত সমেজ মিয়ার ছেলে হাকিম (৪০) প্রায়ই ওই গৃহবধুকে কু-প্রস্তাব দিত।
হাকিমের কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে গত ৫ই মে রাতে ওই গৃহবধুর ঘরে ঢুকে তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে হাকিম।
পরে বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে ও তার দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায় ধর্ষক হাকিম।
একদিকে লোক লজ্জার ভয় আরেকদিকে ধর্ষকের হুমকীতে গৃৃহবধু ধর্ষণের বিষয়টি চেপে যান; এরই মধ্যে ওই গৃহবধু ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
বিষয়টি ধর্ষক হাকিম জানতে পেরে গত ১৬ জুুলাই সকালে গৃহবধুর বাড়িতে এসে তাকে ছয় হাজার টাকা ও ওষুধ দিয়ে গর্ভপাতে বাধ্য করে।
গর্ভপাতের ফলে ওই গৃৃহবধুু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসা শেষে সুুস্থ হয়ে নাগরপুুর থানায় ধর্ষণ মামলা (মামলা নং-০১, তাং-৫/০৮/২১) দায়ের করে।
এদিকে মামলা করার পর থেকে অভিযুক্ত হাকিমের পরিবারের অব্যাহত হুমকীতে গৃহবধু ও তার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাগরপুর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত হাকিম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি; তবে তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হুমকীর বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা – অলক কুমার