নাগরপুরে বিদ্যুতের বিরামহীন লোডশেডিং, জন-ভোগান্তি চরমে

নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চলছে বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিং।

আর এতে দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে জনজীবন।

উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতাভুক্ত হওয়ার পরও পিছু ছাড়ছে না লোডশেডিং নামক ব্যাধি।

ফলে চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম সহ সকল ডিজিটাল সুবিধা।

টাঙ্গাইল পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি নাগরপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে এ উপজেলাকে সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনে।

সূত্র আরো জানায় এ জোনাল অফিসের আওতায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২২ মেগাওয়াট।

চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও এর সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ গ্রাহকরা। এছাড়া দুপুরের পর থেকে টানা ২০-২৫ বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে সারা উপজেলা।

এতে করে চরম বিপাকে পড়েন জনগণ। একদিকে প্রচন্ড গরম আবহাওয়া অপরদিকে বিদ্যুত বিভ্রাট এ যেন উভয় সংকট।

অথচ কঠোর লকডাউনে অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কল কারখানা বন্ধ থাকলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ সেবা না পেয়ে গ্রাহকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

এছাড়া লো-ভোল্টেজসহ খন্ডকালীন বিদ্যুত সরবরাহে আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন।

ফলে পানি সরবরাহসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ নিয়ে দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যারা বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না করেন তারা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বিদ্যুত সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

নাগরপুর সদর বাজারের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন জানান, আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ চলে যায়।

এছাড়া রক্ষনাবেক্ষণ কাজের অজুহাতে সপ্তাহের দুইদিন সারাদিনব্যাপী বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।

ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, দিনে কতবার বিদ্যুৎ যায়, সে হিসেব এখন আর রাখিনা কখন আসে সেই অপেক্ষায় থাকতে হয়।

বাজারের ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা কম্পিউটার প্রশিক্ষক রবিন শিকদার জানান, আমার ব্যবসাটাই মূলত বিদ্যুত নির্ভর।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া তীব্র তাপদাহের সাথে লোডশেডিং যোগ হয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।

টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুত সমিতি নাগরপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোহাম্মদ মেশবাহুল হক নাগরপুরে কোন লোডশেডিং নাই উল্লেখ করে বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও রক্ষনাবেক্ষন কাজের জন্য বিদ্যুত বিভ্রাট ঘটে।

তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংকটের উত্তোরন ঘটবে। সম্পাদনা – অলক কুমার