টাঙ্গাইলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন সহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোন পক্ষকেই সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ

পুলিশি বাঁধায় কোন পক্ষই সমাবেশ করতে পারেনি
টাঙ্গাইলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের সতর্ক অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

এ প্রেক্ষিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কোন পক্ষকেই সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।

জেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ, সচেতন নাগরিক সমাজ ও জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে একই সময় সমাবেশের আহ্বান করায় বর্তমানে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইল শহরে দফায় দফায় বিষ্ফোরণ, জনমনে আতঙ্ক

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বিবাদমান দুই গ্রুপের কাউকেই শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমাবেশ স্থলে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।

পরে সচেতন নাগরিক সমাজের এক অংশ পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীরের নেতৃত্বে টাঙ্গাইল পৌরসভার সামনে সংক্ষিপ্ত পথ সমাবেশ করে।

এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেলের নেতৃত্বে থানা পাড়া ‘রবি’ অফিস মোড়ে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত করে সংক্ষিপ্ত পথ সমাবেশ করে।

অপরদিকে সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোটমনির সমর্থিত জেলা শ্রমিক ফেডারেশন পূর্ব আদালত পাড়া মোড়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সমাবেশ স্থলে ও শহরের মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।

এছাড়া এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড় গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এছাড়া পুলিশ, ডিবি ও র‍‍্যাবের ভ্রাম্যমান টহল দল শহরময় প্রদক্ষিণ করে।

সকালে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ টাঙ্গাইল পৌর ভবনের সামনে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাঁধায় তা পন্ড হয়ে যায়।

পুলিশের বক্তব্য –

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, টাঙ্গাইল শহরের পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।

এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আরো পড়ুন – বড়মনিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি, চূড়ান্ত অব্যাহতির সুপারিশ

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, দুই পক্ষ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

তাই কোন পক্ষকেই সমাবেশ না করতে দেয়ার বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনাক্রম –

উল্লেখ্য, একটি অংশ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত দলের শহর শাখা থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ‘টাঙ্গাইলের সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারের এই সমাবেশের আহ্বান করে।

এর নেতৃত্বে রয়েছেন, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর; সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আনছারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।

আরো পড়ুন – সখীপুরে সাংবাদিকের উপর হামলাকারী আ’লীগ নেতা কারাগারে

অপর পক্ষ “জেলা শ্রমিক ফেডারেশন” এর ব্যানারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে একই দিন একই সময় শ্রমিক সমাবেশের আহ্বান করে।

এর নেতৃত্বে রয়েছেন, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়া; ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি ও ফেডারেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান ওরফে আমিন প্রমুখ।