আদালত প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে পরকীয়া প্রেমিকাকে সন্তুষ্ট করতে না পারায় খুন করা হয় প্রেমিক শফিকুল ইসলামকে।
পরে তার মরদেহ বস্তায় ভরে পাশের ব্রিজের নিচে ফেলে দেওয়া হয়।
পরকীয়া প্রেমিকা মোরশেদা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানান।
মোরশেদা আক্তার (৩৩) নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের মানড়া নয়াপাড়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোরশেদার দেবর বারেক ও ভাসুর ফুলচানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরো পড়ুন –হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
স্বীকারোক্তিতে মোরশেদা জানান, মোরশেদার স্বামী বাবুল হোসেন এক বছর ধরে সিঙ্গাপুরে চাকুরি করছেন; এই সময়ে শফিকুলের সাথে তার পরকীয়ার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়।
পরকীয়ার সম্পর্ক থাকাকালে অসুস্থতার কারণে শফিকুল কখনোই মোরশেদাকে সন্তুষ্ট করতে পারে নাই।
গত সোমবার (১৮ জুলাই) বিকালে শফিকুল আবারও মোরশেদা আক্তারের বাড়িতে যান।
ওই সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শফিকুল ইসলাম তার পরকীয়া প্রেমিকা মোরশেদা আক্তারের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
বাড়ির টিউবওয়েলের কাছে ধস্তাধস্তির সময় মোরশেদা তার পড়নের ওড়না দিয়ে শফিকুলের মুখ চেপে ধরেন।
এ সময় শফিকুল টিউবওয়েলের মেঝেতে পড়ে গুরুতর আহত হন। ওড়না দিয়ে মুখ চেপে ধরে রাখায় শফিকুলের মৃত্যু হয়।
পরে তার মরদেহ পাশের টয়লেটে লুকিয়ে রাখে। পরে মোরশেদা বিষয়টি তার দেবর বারেক ও ভাসুর ফুলচানকে জানায়। তারা মরদেহ লুকানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা : প্রতিষ্ঠাতা রিপনের ফাঁসির দাবিতে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার
ওইদিনই রাত প্রায় ১২টার দিকে মরদেহটি চটের বস্তায় ভরে বারেকের অটোরিকশায় উঠিয়ে গ্রামের ব্রিজের নিচে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
পুলিশের বক্তব্য –
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ও নিষ্ঠা নিয়ে এসআই মনোয়ার হোসেন এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন।
আরো পড়ুন –
উন্নত তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ও সনাতন পদ্ধতির পুলিশি কৌশল ব্যবহার করে তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন; একই সাথে বাকি অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে নাগরপুর উপজেলার মানড়া নয়াপাড়া গ্রামের ব্রিজের নিচ থেকে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে মরদেহটি শফিকুল ইসলামের বলে তার স্ত্রী মোছা. রাহেলা বেগম সনাক্ত করেন এবং নিজে বাদি হয়ে নাগরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার