বর্তমানে শরীরচর্চা বা ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি প্রোটিন পাউডার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সঠিকভাবে না খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে। জেনে নিন প্রোটিন পাউডার খাওয়ার ১০টি সাধারণ ভুল এবং সেগুলো কীভাবে এড়িয়ে চলা যায়:
১. না জেনে যেকোনো প্রোটিন বেছে নেওয়া
বাজারে হুই, কেসিন, সয়া, মটর, চালসহ বিভিন্ন প্রোটিন রয়েছে। নিজের শরীর ও প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোটিন বেছে নেওয়া উচিত।
২. ভেজাল বা নকল পণ্য কেনা
ভেজাল প্রোটিনে ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে। অনুমোদিত ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড থেকে কেনাই নিরাপদ।
৩. প্রাকৃতিক প্রোটিন বাদ দেওয়া
প্রোটিন পাউডার খেলেও ডিম, ডাল, দই, পনির ইত্যাদি প্রাকৃতিক উৎস বাদ দেওয়া উচিত নয়।
৪. দুধের সঙ্গে প্রোটিন মেশানো
ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে দুধ নয়, বরং পানির সঙ্গে প্রোটিন মেশানো ভালো। এতে হজম দ্রুত হয়।
৫. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া
অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। প্রতিদিন শরীরের ওজন অনুযায়ী ১ গ্রাম যথেষ্ট।
৬. কম পানি পান করা
প্রোটিন খাওয়ার সময় প্রচুর পানি না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও অ্যাসিডিটি হতে পারে।
৭. ফাইবার বাদ দেওয়া
প্রোটিন হজমে সহায়ক ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি, ফল খাওয়া জরুরি।
৮. শুধু ওয়ার্কআউটের পর খাওয়া
প্রোটিন শুধুই শরীরচর্চার পর নয়; এটি সকালের নাশতা বা স্মুদি হিসেবেও গ্রহণ করা যায়।
৯. উপাদান না দেখে কেনা
প্রডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই লেবেল ও উপাদান তালিকা ভালোভাবে পড়া উচিত।
১০. ব্যায়াম না করেও নিয়মিত খাওয়া
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না, তাদের অতিরিক্ত প্রোটিনের প্রয়োজন নেই। সাধারণ খাবারই যথেষ্ট।
প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের আগে ডায়েটিশিয়ান বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ সবার শারীরিক চাহিদা এক নয়।